
হেলথ হাইপ ডেস্কঃ
পুদিনা একটি সুগন্ধযুক্ত, বহু বর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। পুদিনা পাতা সর্বাধিক পরিচিত মুখের ভেতর ঠাণ্ডা অনুভূতি সৃষ্টি ও সতেজ নিশ্বাসের জন্য। শ্বাস সতেজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন খাবার এবং পানীয়তে স্বাদ বাড়ানোর জন্য পুদিনা ব্যবহারের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। এছাড়া অনেক ব্র্যান্ডের টুথপেস্ট, মাউথওয়াস ও চুইংগামেও পুদিনার ফ্লেভার ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুদিনা পাতা তাজা অবস্থায়ই ব্যবহার করা হয়। পুদিনার বহুবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যেমনঃ
১। হজমে উপকারিতাঃ পুদিনার ওষুধি গুণের কথা বিবেচনা করলে সবার প্রথমে আসে হজমে সমস্যা দূর করার ক্ষমতা। বদ হজম রোগীদের নিয়ে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পিপারমিন্ট তেল (পুদিনার একটি জাত) এবং ক্যারাওয়ে তেলের সংমিশ্রণে তৈরি ক্যাপসুলগুলির বদ হজম নিরাময়ের ব্যবহৃত ওষুধের মতোই কার্যকর। এটি পেটের ব্যথা এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা দূর করতে পারে।
২। আইবিএস থেকে মুক্তিঃ Irritable bowel syndrome (IBS) হল পাচনতন্ত্রের এক ধরনের ব্যাধি। পেপারমিন্ট তেলে মেন্থল নামক একটি যৌগ রয়েছে যা কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ‘আইবিএস’ দূর করতে সহায়তা করে।
৩। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিঃ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, পিপারমিন্ট তেলের সুগন্ধ স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। পুদিনা খাওয়া ছাড়াও এর নির্যাস শ্বাসের সাথে গ্রহণ করলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা রয়েছে।
৪। মুখে দুর্গন্ধ দূর করাঃ পুদিনা স্বাদযুক্ত চুইংগাম, মাউথওয়াস ইত্যাদি ব্যবহার করলে মুখের দুর্গন্ধ অনেকটা কমে যায়। পুদিনার তাজা পাতা চিবালেও তা মুখের দুর্গন্ধ কমাতে পারে এবং একই সাথে মুখের ব্যাকটেরিয়াগুলোকেও মারতে সক্ষম।
৫। পুষ্টিগুণঃ খুব বেশি পরিমাণে না হলেও পুদিনাতে কিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যেমনঃ ক্যালোরি, ফাইবার, ভিটামিন এ, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট। একই সাথে এটিআন্টি-অক্সিডেন্টের একটি ভাল উৎস। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট দেহকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস (ফ্রি র্যাডিকেলগুলো দ্বারা সৃষ্ট কোষের একধরণের অভ্যন্তরীণ ক্ষতি) থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
সূত্রঃ হেলথলাইন; অনুবাদঃ জারিন তাহসিন আনজুম